"শীতের হাওয়ায় লাগলো নাচন" ... শৈত প্রবাহেও রয়েছে এক নৈসর্গিক সৌন্দর্য
গ্রীষ্মের দাবদাহ কাটিয়ে শীতের আমেজ সবার মনেই যেন দোলা লাগায়। খুব কম মানুষই আছেন যারা শীত পছন্দ করেন না।
- লেখক, অনিন্দিতা কর
শীতের সকালে গরম চায়ে চুমুক দিয়ে বই পড়া বা গান শোনার মজাই আলাদা। বছরের শুরুর দিকটা যেমনই কাটান না কেন বছরের শেষটা কিন্তু জমিয়ে আড্ডা ঘোরাফিরা পিকনিক করেই কাটান। শিতের সন্ধ্যায় ফুলকপির সিঙ্গারা, মটরশুঁটির কচুরি, চপ,কাটলেট দিয়ে বেশ জমিয়ে আড্ডা দেওয়া যায় ঘরে বসে। বেডমিন্টন খেলা, ক্রিকেট খেলে ঘরে ফিরে বাচ্চাদের মন পড়াতে বসতে না চাইলেও বাড়ির বড়দের চোখ রাঙানিতে বসতে বাধ্য করে। গরমে যেমন প্রাণ মন ওষ্ঠাগত হয়, তেমনি শীতের স্নিগ্ধতায় সন্ধ্যাবেলা আগুনের সামনে বসে থাকলে যে আনন্দ পাওয়া যায় সেটা অন্য কোনও ঋতুতে পাওয়া যায় না।
বাঙালি পরিবারগুলোতে শীতের শুরুতেই শুরু হয়ে যায় গরম কাপড় নামানোর তোরজোড়। কারণ গরম দিনে সব কিছু তুলে গুছিয়ে রাখা হয়। মা-কাকিমা রা বাড়ির সবার গরম কাপড় বিশেষ করে লেপ-কম্বল সোয়েটার,কমফোর্টার, জ্যাকেট, মাফলার টুপি, মোজা আর বাদবাকী গরম জামাকাপড় বের করে শুকিয়ে তারপর যার যার কাছে সমঝে দেন। এই সমস্ত কিছু মিলিয়ে শীতের দিনগুলো শুরু হয়, বড়দিনের হাড়কাঁপানো শীতে জ্যাকেট টুপি পড়েও বাইরে বেরোতে যাওয়ার আনন্দ বাকি সব আনন্দের থেকে ঢেরবেশি আনন্দের হয়।
বছরের শেষ দিনে পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে মানুষের চরম উদ্দীপনা হয়তো, গ্রীষ্ম-বর্ষা হলে একটু কম দেখা যেত কিন্তু শীত বলে উৎযাপনের উৎসাহ যেন দ্বিগুণ হয়ে যায়।
বাচ্চাদের পরীক্ষার শেষে শীতের ছুটি কাটানোর মজাটা বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়। আবার শীতের শেষে মনটা যেন ভারাক্রান্ত হয়ে যায় আবার কবে শীত আসবে আর সারা বছরের জমিয়ে রাখা আনন্দ হই হুল্লোড়ের মাঝে দিনগুলো সানন্দে কাটবে।
আপনার প্রতিক্রিয়া কি?