বিজয়া দশমীর দিনে ছেলের রহস্যময় মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের কাছে সুবিচার চাইলেন আইরংমারার সুজিত পাল।
Also read in English
আইরংমারা নিবাসী সুজিত পালের একমাত্র ছেলে সমরজিৎ পাল সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা পাশ করে বাবার ব্যাবসায় যুক্ত ছিলেন। বিগত ২৪ অক্টোবর দিনের বেলা তাঁর বন্ধু দীপ দেব ও রাহুল পাল এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো তিনজন তাঁকে রবীন্দ্র পাঠাগার সংলগ্ন আইরংমারার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মোটরসাইকেলে বেরিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ বাদে স্থানীয় থানা থেকে তাকে বলা হয় যে রাস্তায় তাঁর ছেলে পড়ে আছে। পাশে তার মোটরসাইকেল রাখা, যদিও সেদিন তার মোটরসাইকেল নিয়ে রওয়ানা হয়েছিলেন দীপ দেব। এরপর প্রায় জ্ঞানহীন ছেলেকে নিয়ে তিনি প্রথমে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও পরে গৌহাটির জিএনআরসিতে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকদের আপ্রান চেষ্টার পরও সমরজিৎ পালকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তাঁদের কোল খালি করে গত ৩১ অক্টোবর পরলোকে পাড়ি দেয় সমরজিৎ। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট অনুযায়ী তাঁকে কোন রাসয়নিক খাওয়ানোর পর প্রহার করা হয়। যকৃত ও বৃক্ক ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। সমগ্র ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ছেলের হত্যার সুবিচার চেয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা সরকারের কাছে আর্জি জানালেন সদ্য পুত্রহারা দম্পতি।
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে এদিন সুনীল পাল বলেন যে তাঁদের এফ আই আর এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের পক্ষ থেকে এখন অব্দি শুধু দুজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। দুই বন্ধুর সাথে বাকিরা যারা সেদিন এসেছিল তাদের গ্রেফতারের এখন অব্দি কোন খবর নেই। এছাড়া প্রতিবেশী দীপ দেব ও রাহুল পালের পরিবারবর্গও পলাতক যদিও তাঁরা শিলচরেই রয়েছেন। ঘটনার পর প্রায় এক মাস অতিবাহিত অথচ পুলিশ এখনো আশ্চর্যজনক ভাবে নিশ্চুপ।
তিনি বলেন এইজন্যই ব্যাপারটি রহস্যজনক এবং তাদের সন্দেহ কোন রাজনৈতিক লবির চাপে পুলিশ যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছেনা। সুনীল বাবু ও তাঁর স্ত্রী এদিন বলেন যে গেছে সে আর ফিরে আসবেনা, কিন্তু তাঁর এই রহস্যময় মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাদের যথাযথ শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন তারা। এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা তথা বিজেপি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাঁরা বলেন যে তাঁদের সুবিচার চাই, কারণ তাঁরা চাননা ভবিষ্যতে এইভাবে আরো বাবা-মায়ের কোল খালি হোক। অবিলম্বে এই মৃত্যুর যথাযথ তদন্ত তথা দোষীদের গ্রেফতারের জন্য এদিন আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
What's Your Reaction?